মাহামুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুরে একটি মুরগির খামারে লাগানো বৈদ্যুতিক ফাঁদের সংস্পর্শে মো. হুমায়ূন (৪৫) নামে এক রাখালের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বরে) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এর আগে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি ভূঁইয়ার হাটের পাশে জহিরের মুরগির খামারের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে মহিষ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
হুমায়ুনের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার পশ্চিম জাহাজমারা গ্রামে। তিনি লক্ষ্মীপুরের চরশাহীতে জয়নাল নামে এক ব্যক্তির মহিষ লালন-পালন করতেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে হুমায়ুনের বাবা আবদুর রব বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় খামার মালিক জহিরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। জহির চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি গ্রামের মনার বাড়ির ইনতিজার মিয়ার ছেলে।
দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত জহির ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
মহিষের মালিক জয়নাল বলেন, হুমায়ুন তার মহিষ পালের রাখাল ছিলেন। চরশাহীর ভুঁইয়ার হাটের পাশের একটি ক্ষেতের মাঝখানে জহিরের মুরগির খামার রয়েছে। খামারের চারপাশে জিআই তারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন জহির। বিকেলে হুমায়ুন মহিষ নিয়ে আসার সময় খামারের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়। এভাবে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দেওয়া ঠিক হয়নি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, হুমায়ুন দুই বছর থেকে তার মহিষের রাখাল হিসেবে কাজ করছেন। তিনি খুব গরিব ছিলেন। তার তিন মাসের একটি কন্যাশিশুসহ চার মেয়ে রয়েছে।