ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিশরীয় বধু প্রেমের টানে নয়! দেশে বেড়াতে এসেছেন স্বামী বাবুর সাথে শশুরবাড়িতে ।

প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করেন মিসরে।বাংলাদেশে এসেছেন মিসরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালীতে এসেছেন শশুর বাড়িতে স্বামী বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালে মিসরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তারা বাংলাদেশে আসেন।

গোলাম সারোয়ার বাবু বলেন, ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিসর যাই। সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। মিসরীয় তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতাম। তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সুবাদে মাঝে মধ্যেই ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল। এক সময় ডালিয়াকে ভালো লাগার বিষয়টি জানিয়ে দেই। এতে ডালিয়া সায় দিলে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইনকানুন মেনে তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। গত বছর আমাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এই প্রথম দুজনে একসঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি।

বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি। মিসরীয় তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিসরীয় ভাষায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মিসরীয় ভাষা বাংলায় অনুবাদ করে তার স্বামী বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন এই তরুণী। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুরবাড়িতে ২ মাস থেকে আবার মিসর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।

নবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

মিশরীয় বধু প্রেমের টানে নয়! দেশে বেড়াতে এসেছেন স্বামী বাবুর সাথে শশুরবাড়িতে ।

আপডেট : ০৫:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সারোয়ার বাবুকে (২৬) বিয়ে করেন মিসরে।বাংলাদেশে এসেছেন মিসরীয় তরুণী ডালিয়া (২৬)। নোয়াখালীতে এসেছেন শশুর বাড়িতে স্বামী বাবুর সঙ্গে। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণায় মুখরিত তাদের বাড়ি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দম্পতি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে আসেন। ২০২০ সালে মিসরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর এই প্রথম তারা বাংলাদেশে আসেন।

গোলাম সারোয়ার বাবু বলেন, ২০১২ সালে জীবিকার সন্ধানে মিসর যাই। সেখানে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতাম। মিসরীয় তরুণী ডালিয়াদের বাসার পাশেই থাকতাম। তার ভাইয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ সুবাদে মাঝে মধ্যেই ডালিয়াদের বাসায় যাতায়াত ছিল। এক সময় ডালিয়াকে ভালো লাগার বিষয়টি জানিয়ে দেই। এতে ডালিয়া সায় দিলে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের দিকে ডালিয়ার পরিবারে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার পরিবারের কেউই রাজি হননি। পরে ডালিয়া অনেক কান্নাকাটি করে তার মা-বাবাকে রাজি করালে ২০২০ সালে ওই দেশের আইনকানুন মেনে তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। গত বছর আমাদের একটি বাচ্চা হয়। পরে সে মারা যায়। এরপর এই প্রথম দুজনে একসঙ্গে দেশে আসা। বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি।

বিদেশি পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত বলেও জানান তিনি। মিসরীয় তরুণী ডালিয়া বাংলা বলতে না পারলেও মিসরীয় ভাষায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

মিসরীয় ভাষা বাংলায় অনুবাদ করে তার স্বামী বাবু সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি খাবার এবং পরিবেশ তার ভালো লেগেছে। এটা তার স্বামীর দেশ। এ দেশকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তবে মাংসের চেয়ে আলু তার বেশি পছন্দ বলেও মন্তব্য করেন এই তরুণী। তবে কারো সঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করতে না পারায় তার কষ্ট হয়। শ্বশুরবাড়িতে ২ মাস থেকে আবার মিসর ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।

বাবুর বাবা গোলাম মাওলা মিয়া বলেন, পুত্রবধূ বাংলা ভাষা বলতে না পারলেও ইশারায় ইঙ্গিতে কথা বলছে। বিদেশিনী পুত্রবধূকে কাছে পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত।

নবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোহেল বলেন, বিদেশি পুত্রবধূকে দেখার জন্য শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন। গ্রামের মানুষ এতে খুশি। ছেলে-পুত্রবধূর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।