ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাবিপদে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক দিনের শীতকালীন তুষারঝড় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির প্রায় ২৫ কোটি মানুষ পড়েছেন মহাবিপদে। প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১৯ জনের। বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট, বিলম্বিত অন্তত ১০ হাজার ফ্লাইট। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস উদযাপন ও উৎসব ঘিরে ছুটি দুটিই এবার বিবর্ণ করে দিয়েছে এই তুষারপাত। এখন পর্যন্ত ঝড় তাণ্ডব চালাচ্ছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে কুইবেক পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে। খবর বিবিসির।এবারের তুষারঝড়কে ‘বোমা ঘূর্ণিঝড়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বায়ুম লীয় চাপ কমে গেলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তের গ্রেট লেকগুলোতে এমন বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, প্রতিবেশী কানাডার অন্টারিও এবং কুইবেক আর্কটিকও এই ঝড়ের কবলে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন দিন পার করছেন। শীত ও তুষার থেকে বাঁচতে অনেকেই ওই সব এলাকা ছেড়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবা বলেছে, এলক পার্কসহ কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে মিশিগানের হেল শহর। পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান অঞ্চলে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের কোনো কোনো এলাকায় ৩৫ ইঞ্চি তুষার পড়েছে শুক্রবার। ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ তুষারঝড়ের সতর্কতায় রয়েছেন। উপকূলীয় বন্যা দেখা দিয়েছে নিউ ইংল্যান্ড, নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে। সবকিছু বরফে ঢেকে যাওয়ায় ওই সব এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন চরম বিপদে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

মহাবিপদে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০৯:২১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক দিনের শীতকালীন তুষারঝড় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির প্রায় ২৫ কোটি মানুষ পড়েছেন মহাবিপদে। প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১৯ জনের। বাতিল করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ফ্লাইট, বিলম্বিত অন্তত ১০ হাজার ফ্লাইট। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস উদযাপন ও উৎসব ঘিরে ছুটি দুটিই এবার বিবর্ণ করে দিয়েছে এই তুষারপাত। এখন পর্যন্ত ঝড় তাণ্ডব চালাচ্ছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য থেকে কুইবেক পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে। খবর বিবিসির।এবারের তুষারঝড়কে ‘বোমা ঘূর্ণিঝড়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বায়ুম লীয় চাপ কমে গেলে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তের গ্রেট লেকগুলোতে এমন বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, প্রতিবেশী কানাডার অন্টারিও এবং কুইবেক আর্কটিকও এই ঝড়ের কবলে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন দিন পার করছেন। শীত ও তুষার থেকে বাঁচতে অনেকেই ওই সব এলাকা ছেড়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবা বলেছে, এলক পার্কসহ কয়েকটি এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রিতে নেমে গেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে মিশিগানের হেল শহর। পেনসিলভানিয়া ও মিশিগান অঞ্চলে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের কোনো কোনো এলাকায় ৩৫ ইঞ্চি তুষার পড়েছে শুক্রবার। ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ তুষারঝড়ের সতর্কতায় রয়েছেন। উপকূলীয় বন্যা দেখা দিয়েছে নিউ ইংল্যান্ড, নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সিতে। সবকিছু বরফে ঢেকে যাওয়ায় ওই সব এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন চরম বিপদে।