বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন-সিজন -৩ এর টপটেন এ নির্বাচিত হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার মোঃমাসুদ আলম রায়পুরী। তার বাড়ি সোনাপুর ইউনিয়ন রায়পুরে। তিনি ইসলামিক স্ট্যাডিজ লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজ ও আল হাদিস ইসলামিক আরবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল সম্পর্ণ করেন। তিনি লক্ষ্মীপুরে খুতবা প্রদান করেন এবং একজন ইসলামিক স্কলারও। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে মাসুদ আলম ২য় ।
এবার বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পদার্পণ করেছে এই অনুষ্ঠানটি । গার্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এই আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর ছিলো বেক্সিমকো গ্রুপ।
এই অনুষ্ঠানে ইসলাম ও সাধারণ জ্ঞানের যুদ্ধে লড়ছেন বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, সৌদিআরব, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, মিশরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলেমে দ্বীন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ট্যালেন্ট ও খতিবগণ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক গার্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামিক আইকনের চেয়ারম্যান মিডিয়া ব্যক্তিত্ব খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক এই রিয়েলিটি শোর সবচেয়ে আকর্ষণ হলো-এর কনটেন্ট ক্যাম্পাস। যেমন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও হাদিসের শব্দানুবাদ, বাক্যানুবাদ, শানে নুজুল, ব্যাখ্যা, শিক্ষা, বিধান, ইসলামিক কারেন্ট নলেজ, বাংলাদেশ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা, গণমানুষের প্রশ্ন-উত্তর ও ইসলামিক কারেন্ট নলেজ, বাংলাদেশ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা, বক্তৃতা বা খুৎবাদানে পারদর্শী। সুবিশাল এই আয়োজনে এবার তুলে দেয়া হয়েছে বয়সসীমা। ফলে সববয়সী ট্যালেন্ট বিশেষ করে সম্মানিত খতিব সাহেবরা লড়তে পারবেন এই প্রতিযোগিতায়। এই প্রতিযোগিতার অডিশনের বিচারকার্যে অংশ নেবেন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণের বরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এবারের আসরেও ছিলো মোট ২৫ লাখ টাকার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন, ১ম রানারআপ ও ২য় রানারআপসহ সেরা ১০ জন পাচ্ছেন পবিত্র ওমরাহ পালন, বিদেশ ভ্রমণ, বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায় শিক্ষা সফর, শরিয়াসম্মত জীবন ও স্বাস্থ্যবীমা।
অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়েছিলো ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইন বাছাই পরীক্ষা (লিখিত ও মৌখিক) ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে সকল বিভাগ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলাসমূহে উপস্থিত থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা চলছে ১০ দিন। টিভি রাউন্ডের প্রতিযোগীদের নিয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালা ছিলো এক সপ্তাহ। টিভি রাউন্ডের প্রতিযোগিদের নিয়ে ঢাকায় গ্রুপিল ৩ দিন ছিলো। এরপর শ্যুটিং শুরু ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে যা শেষ হয় ১৯ই এপ্রিল।
টিভি রাউন্ডের পর্বগুলি পবিত্র মাহে রমজানে সম্প্রচার করেছে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন আরটিভি, ভারতের আকাশ টিভি ও আমেরিকার আইটিভি ইউএসএসহ বিশ্বের ৪০টি গণমাধ্যম এ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এই আয়োজন ইসলামি শিক্ষার উৎকর্ষসাধন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগীরা অংশ নেয়ায় এটি ট্যালেন্টদের সার্বজনীন মিলন মেলায় পরিণত হবে। এছাড়াও কুরআন নাজিল ও জ্ঞান চর্চার মাস মাহে রমজানে জ্ঞান পিপাসু দর্শকদের জন্য এই আয়োজন ছিলো সময়ের সেরা উপহার। এই রিয়েলিটি শোর কন্টেন্ট এতোটাই তাত্ত্বিক, গবেষণালব্ধ এবং নির্মাণ পদ্ধতি সম্পর্কে আমি যতোটুকু দেখেছি, আমার মনে হয় যেকোনো জ্ঞান পিপাসু দর্শক একটি পর্ব দেখলে সবগুলো পর্ব উপভোগ করতে আগ্রহী হবেন।’
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও সাবেক ভিসি, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, সাবেক শিক্ষা সচিব ড. এন আই খান, প্রফেসর ড. সানাউল্লাহ হাবিবি (বিভাগীয় প্রধান, অ্যারাবিক লিটারেচার, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লী ভারত), সাবেক অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান, (ভূমি মন্ত্রণালয়), প্রফেসর ড. নকিব মো: নসরুল্লাহ (আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) , প্রফেসর ড. সামসুল আলম (বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলা এ্যাকাডেমির পরিচলাক ড. হারুনুর রশিদ, বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহিবুল্লাহিল বাকি আননদভী,আরটিভি অনুষ্ঠান প্রধান রাকিব, আরটিভি বিক্রয় ও বিপনণ প্রধান সুদেব চন্দ্র প্রমুখ।
প্রধান বিচারক ছিলেন প্রফেসর মোখতার আহমেদ এছাড়াও ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গন।তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ওসমান গনি সালেহী । ২৭ই রমযান অনুষ্ঠানটির ইতি টানা হয়।
সেরা টপটেনে আন্তর্জাতিক রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুুরী নয়ন এমপি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন ,ধর্ম ব্যবসায়ী ,ধর্মের অপব্যাখ্যা সহ সকল অনিয়মে তার এই মেধা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে এটিই প্রত্যাশা ।