তাবারক হোসেন আজাদ:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের প্রলোভনে এক বেদে কিশোরীকে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কারও কাছে বিচার চাইলে তাকে নদীতে ফেলে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান ওই কিশোরী।
তবে বিচারের আশায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দ্বারে বিচার না পেয়ে রোববার পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কিশোরী।
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর ধরে রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশি ইউপির মেঘনা নদীর তীরে বসবাস করে তার পরিবার। তিন বছর ধরে হাজিমারা স্লুইস গেট এলাকার জেলে হারুন বেপারির ছেলে সাগর হোসেনের (২৮) সঙ্গে ওই বেদে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিক স্থানে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সাগর।
ওই কিশোরী সাগরকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানা টালবাহানা করে তারই স্বজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করে ঢাকায় পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নির্যাতিতা ওই কিশোরী বিচার পাননি। অবশেষে সাগরকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন ওই কিশোরী।
অভিযুক্ত সাগরের মা বিলকিস বেগম বলেন, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। ওই মেয়ে ও তার পরিবার আমার ছেলে সাগরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিন বছর আগে সাগরকে তারই খালাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি।
দক্ষিণ চরবংশি ইউপি সদস্য দিদার হোসেন মোল্লা বলেন, ওই কিশোরী ও তার পিতামাতা নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছেন। ধর্ষণের বিষয়ে আমার করার কিছুই নাই। তাদের মামলা করার জন্য বলা হয়।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুরের চরবংশি হাজিমারা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. মফিজ মিয়া বলেন, মেয়েটির অভিযোগ পেয়েছি। তাছাড়া মেয়েটি বেদে পরিবারের ও সারা জীবনই তাদের নদীতে জীবন কেটেছে। সাগরের মা-বাবা ওই মেয়ের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেবে না বলে জানান। মেয়েটির অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি।