ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিভীষিকাময় ১২/১২ এখনো আতঙ্ক লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে,একযুগে ৫৪ নেতা -কর্মী গুম- খুনের শিকার দাবী।

   লক্ষ্মীপুরে একযুগেও ঘরে ফেরেনি জীবিত বা মৃত হয়ে যুবদল নেতা জুয়েল সহ ৫ নিখোঁজ নেতা – কর্মী। লক্ষ্মীপুরে গুম-খুন হওয়া ৫৪ নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিএনপি মানবাধিকার দিবসে।

তবে এসব গুম বা মৃত্যুর ঘটনার সাথে আ.লীগ জড়িত নয় দাবী করেছেন জেলা আওয়ীলীগ নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির তালিকা অনুযায়ী গত ১২ বছরে খুন হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শামসুল ইসলাম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন, সদরের বাবর হোসেন, কামাল উদ্দিন, মো. সেলিম, মাহবুব আলম, হরিপদ দেবনাথ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা যুবদল কর্মী সুমন, শিবির কর্মী শিহাব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমেদ, রতনের খালি এলাকার বিএনপিকর্মী আসাদুজ্জামান বাবুল, আব্দুল মান্নান, সুমন, শাহাদাৎ হোসেন রুবেল, দিদার, আবুল হোসেন আবু।

এছাড়াও গুমের শিকার ৬ জন হয়েছেন বলে দাবী করেন, তারা হলেন জেলা যুবদলের যুগ্মসম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, দিঘুলী ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, যুবদল কর্মী আলমগীর হোসেন, রাজু, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুরে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে পা হারিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা নেছার সহ আরো অনেকেই চোখ ,কান সহ পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৯ দলীয় জোটের ১৯ নেতা-কর্মী দাবী বিএনপির। পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা যায়,২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্ভর র্যাবের সাথে আন্দোলনরতকর্মী আবদুল মান্নান, যুবদলের কর্মী মো. সুমনকে র্যাব সদস্যরা গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। বেলাল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ছায়েরা খাতুন সদর থানায় ১৫ ডিসেম্বর জিডি করেন।

১৭ ডিসেম্বর সকালে মান্নান ও সুমনের গুলিবিদ্ধ লাশ বটতলী বাজারের পাশে খালপাড় থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

মান্নান ও সুমনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের ১৯ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা করেন।

তবে ওই সময় র্যাব কাউকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
স্বামীকে হারিয়ে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে নিহত আসাদুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগমের।

মান্নানের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর স্ত্রী রানী বেগম বাবার বাড়িতে বাস করছেন। এ দুজনও স্বামী হত্যার ঘটনায় মামলা করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমেনা বেগম বলেন, ‘দুনিয়াতে বিচার পাব না। বিচার আল্লাহ করবে। মামলা করে কী লাভ হবে?’

৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রামগঞ্জ উপজেলার মাছিমপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিবির কর্মী শাহাদাত হোসেন (রুবেল)।

২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে লক্ষ্মীপুর পরিণত হয় আতঙ্কের শহরে। তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা রাস্তা ও গাছ কেটে জেলা শহরকে উপজেলাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও যোগাযোগব্যবস্থা পুনরায় স্থাপনের জন্য ১২ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল লক্ষ্মীপুরে আসে। গত বছর নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তারেক সাঈদ চাকরিচ্যুত ও গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় কারাগারে আটক আছেন।

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজারে নিহত হন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল মাহমুদ (জুয়েল)। একই দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, বাঞ্চানগর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. সুমন ও মোল্লা বাড়ির ছাত্রশিবির কর্মী মো. শিহাব। এই চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় কোনো মামলা হয়নি।
নিহত জুয়েলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামীর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। ১২ ডিসেম্বর সকাল সাতটার দিকে জুয়েলের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়ে চকবাজারে গেলে র্যাব মিছিলে গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলের লাশ র্যাব গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।
অবশ্য ওই সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা দাবি করেছিল, কারও লাশ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, বিএনপি-যুবদলের ছয়জনকে র্যাব ও র্যাবের ছদ্মাবরণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। পরিস্থিতি এতই খারাপ ছিলো যে আমাদের তৎকালীন সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর বাড়িতে হামলা করে গুলিবিদ্ধ করে। তিনি আরো বলেন সেই সময়ে ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে চরশাহী ইউনিয়নের যুবদলের কর্মী দিদারুল ইসলাম র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এ ঘটনায়ও তাঁর পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলেও মামলা নেয়নি।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এ্যাড নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন , এক সময় বিএনপি থানার পাশাপাশি আদালতে আমাদের নেতা – কর্মীদের মামলা নিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস -নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের শাসনের দ্বারা প্রতিহত করে সন্ত্রাস মুক্ত করেছেন লক্ষ্মীপুরে। সন্ত্রাসী বাহিনীর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নিহত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ক্রসফায়ারে।তারপরেও যদি গুম – খুন হওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে থানা এবং আদালতে মামলা নিচ্ছে । প্রয়োজনে আওয়ামীলীগ সহযোগিতা করবে সত্য উদঘাটনে।তবে এসব গুম – খুনের কোনটির সাথে আওয়ামীলীগ জড়িত ছিলোনা কখনোই।বরংচ আমাদের ছাত্রলীগের মিরাজ ,যুবলীগের মিরাজকে হত্যা করে।মারুফ ও বিপুকে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

বিভীষিকাময় ১২/১২ এখনো আতঙ্ক লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে,একযুগে ৫৪ নেতা -কর্মী গুম- খুনের শিকার দাবী।

আপডেট : ০২:০৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

   লক্ষ্মীপুরে একযুগেও ঘরে ফেরেনি জীবিত বা মৃত হয়ে যুবদল নেতা জুয়েল সহ ৫ নিখোঁজ নেতা – কর্মী। লক্ষ্মীপুরে গুম-খুন হওয়া ৫৪ নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিএনপি মানবাধিকার দিবসে।

তবে এসব গুম বা মৃত্যুর ঘটনার সাথে আ.লীগ জড়িত নয় দাবী করেছেন জেলা আওয়ীলীগ নেতৃবৃন্দ।

জেলা বিএনপির তালিকা অনুযায়ী গত ১২ বছরে খুন হয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শামসুল ইসলাম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন, সদরের বাবর হোসেন, কামাল উদ্দিন, মো. সেলিম, মাহবুব আলম, হরিপদ দেবনাথ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা যুবদল কর্মী সুমন, শিবির কর্মী শিহাব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমেদ, রতনের খালি এলাকার বিএনপিকর্মী আসাদুজ্জামান বাবুল, আব্দুল মান্নান, সুমন, শাহাদাৎ হোসেন রুবেল, দিদার, আবুল হোসেন আবু।

এছাড়াও গুমের শিকার ৬ জন হয়েছেন বলে দাবী করেন, তারা হলেন জেলা যুবদলের যুগ্মসম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, দিঘুলী ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, যুবদল কর্মী আলমগীর হোসেন, রাজু, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুরে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে পা হারিয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা নেছার সহ আরো অনেকেই চোখ ,কান সহ পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৯ দলীয় জোটের ১৯ নেতা-কর্মী দাবী বিএনপির। পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা যায়,২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্ভর র্যাবের সাথে আন্দোলনরতকর্মী আবদুল মান্নান, যুবদলের কর্মী মো. সুমনকে র্যাব সদস্যরা গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। বেলাল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ছায়েরা খাতুন সদর থানায় ১৫ ডিসেম্বর জিডি করেন।

১৭ ডিসেম্বর সকালে মান্নান ও সুমনের গুলিবিদ্ধ লাশ বটতলী বাজারের পাশে খালপাড় থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

মান্নান ও সুমনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের ১৯ ডিসেম্বর থানায় হত্যা মামলা করেন।

তবে ওই সময় র্যাব কাউকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
স্বামীকে হারিয়ে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে নিহত আসাদুজ্জামানের স্ত্রী আমেনা বেগমের।

মান্নানের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর স্ত্রী রানী বেগম বাবার বাড়িতে বাস করছেন। এ দুজনও স্বামী হত্যার ঘটনায় মামলা করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমেনা বেগম বলেন, ‘দুনিয়াতে বিচার পাব না। বিচার আল্লাহ করবে। মামলা করে কী লাভ হবে?’

৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রামগঞ্জ উপজেলার মাছিমপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিবির কর্মী শাহাদাত হোসেন (রুবেল)।

২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে লক্ষ্মীপুর পরিণত হয় আতঙ্কের শহরে। তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা রাস্তা ও গাছ কেটে জেলা শহরকে উপজেলাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও যোগাযোগব্যবস্থা পুনরায় স্থাপনের জন্য ১২ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মাদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল লক্ষ্মীপুরে আসে। গত বছর নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তারেক সাঈদ চাকরিচ্যুত ও গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি ওই মামলায় কারাগারে আটক আছেন।

২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুর শহরের চকবাজারে নিহত হন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল মাহমুদ (জুয়েল)। একই দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, বাঞ্চানগর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. সুমন ও মোল্লা বাড়ির ছাত্রশিবির কর্মী মো. শিহাব। এই চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় কোনো মামলা হয়নি।
নিহত জুয়েলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামীর লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। ১২ ডিসেম্বর সকাল সাতটার দিকে জুয়েলের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়ে চকবাজারে গেলে র্যাব মিছিলে গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলের লাশ র্যাব গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। স্বামীকে হত্যার অভিযোগে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।
অবশ্য ওই সময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা দাবি করেছিল, কারও লাশ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, বিএনপি-যুবদলের ছয়জনকে র্যাব ও র্যাবের ছদ্মাবরণে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। পরিস্থিতি এতই খারাপ ছিলো যে আমাদের তৎকালীন সাধারন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর বাড়িতে হামলা করে গুলিবিদ্ধ করে। তিনি আরো বলেন সেই সময়ে ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে চরশাহী ইউনিয়নের যুবদলের কর্মী দিদারুল ইসলাম র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এ ঘটনায়ও তাঁর পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলেও মামলা নেয়নি।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এ্যাড নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন , এক সময় বিএনপি থানার পাশাপাশি আদালতে আমাদের নেতা – কর্মীদের মামলা নিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস -নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের শাসনের দ্বারা প্রতিহত করে সন্ত্রাস মুক্ত করেছেন লক্ষ্মীপুরে। সন্ত্রাসী বাহিনীর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নিহত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ক্রসফায়ারে।তারপরেও যদি গুম – খুন হওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে থানা এবং আদালতে মামলা নিচ্ছে । প্রয়োজনে আওয়ামীলীগ সহযোগিতা করবে সত্য উদঘাটনে।তবে এসব গুম – খুনের কোনটির সাথে আওয়ামীলীগ জড়িত ছিলোনা কখনোই।বরংচ আমাদের ছাত্রলীগের মিরাজ ,যুবলীগের মিরাজকে হত্যা করে।মারুফ ও বিপুকে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ফেলে রেখে যায়।