বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি পদে বাজিমাত করেছেন শাহরিয়াল জাহেদী। তার সঙ্গী জয়ী হয়েছে ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, সাব্বির আহমেদ আরিফ ও ফাহাদ করিম। তবে হেরে গেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও দীর্ঘদিন ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুই তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিক।
বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে সাধারণত দলীয় শক্তি ও আর্থিক সক্ষমতা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এবারের নির্বাচনেও তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। ফুটবল ফেডারেশনে এসেই প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে চার প্রার্থী।
প্রথম সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয় যশোরের শুমসুল হুদা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জাহেদী পেয়েছেন ১১৫ ভোট। বাফুফে সহ-সভাপতি নির্বাচনে এর আগে কেউ একশ ভোট পাননি। জাহেদীর একাডেমি থেকে জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলছেন অনেকে। তৃণমূলের এই সংগঠক এবার বাফুফে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন।
ভোটে দ্বিতীয় হওয়া লক্ষীপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কাউন্সিলর ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি পেয়েছেন ১০৮ ভোট। তিনি বিএনপির সাবেক এমপি শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানির বড় ভাই। ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ে পরিচিতি না থাকলেও তিনি ভোটে দ্বিতীয় হয়েছেন৷
ব্রাদার্স ইউনিয়নের সদস্য সচিব সাব্বির আরেফ ৯০ ভোট পেয়ে তৃতীয় ও ফাহাদ করিম ৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে কিংবদন্তি ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির ৬৬ এবং আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ৪২ ভোট। সাব্বির ২০১৬ সালে সহ-সভাপতি পদে এবং মানিক ২০২০ সালে সভাপতি পদে হেরেছিলেন।
১৩৩ ভোটারের মধ্যে ১২৮ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে একটি ব্যালট বাদ হয়েছে। এখন সদস্য পদের গণনা চলছে। এই গণনা শেষ হতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে৷
এদিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণার শুরুতেই নির্বাচন কমিশনার সভাপতি হিসেবে তাবিথ আউয়ালের নাম ঘোষণা করেন। তিনি ১২৮ ভোটের মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী পান ৫টি ভোট।
১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই কিংবদন্তি ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। তাবিথ বাফুফের তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।