ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার তৈরি রাজকীয় ‘বেস্ত’ বিশ্বজয়ী মেসির গায়ে!

বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে তৈরি হয় সৌদি আরব ও কাতারের রাজকীয় পোষাক ‘বেস্ত’। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘বেস্ত আল নুর’। এ কারখানায় তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, দুবাই সহ বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহ, শেখদের পরিহিত রাজকীয় পোশাক বিস্ত ও আভায়া। এবার সেই ‘বেস্ত’ বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেন্টিনার সাদা আকাশী রঙের দলপতি লিওনেল মেসির গায়ে।

কাতারের দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তার গায়ে এই রাজকীয় পোশাকটি পড়িয়ে দেন শেখ তামিম। তবে কাতারে মেসির গায়ে পড়িয়ে দেয়া ‘বেস্ত’ আসলেই বগুড়ার তৈরি কিনা তা ফিফা কর্তৃপক্ষের থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।মূলত বিস্ত ও আভায়া পড়েন শেখ’রা। তারা এটিকে রাজকীয় পোশাক ও নিজেদের বর্হিপ্রকাশে ব্যবহার করে থাকেন। বেস্ত আল নূর এর তৈরি পোশাক মেসির গায়ে পড়ানো হয়েছে এমন একটি পোস্ট ফেসবুকে করেছেন এই পোশাক কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন। চাহিদা মাফিক বেস্ত তৈরি হয় এই কারখানায়। প্রয়োজন চাহিদা মাফিক একেকটি বেস্তর দাম শুরু শুরু ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ পর্যন্ত । জানা গেছে, বগুড়ায় তৈরী হওয়া ‘বেস্ত’ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর রাজা-বাদশাদের ঐহিত্যবাহী পোশাক। প্রায় ১৩ বছর আগে বগুড়া সদরের এরুলিয়া হাপুনিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ‘বেস্ত আল নূর’ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন নূর আলম নামের এক কাতার প্রবাসী। এবার কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়তে থাকে বেস্ত’র। সেই অনুযায়ী কারখানায় চাহিদা মাফিক বেস্ত তৈরিতে কাজ শুরু করে কর্মীরা। বিদেশি কাপড়ে হাতের কাজের নকশায় ‘বেস্ত’ তৈরি হচ্ছে। ‘বেস্ত আল নূর’ নামে কারখানায় এই এলাকার নারী-পুরুষ মিলে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।কাঁচামাল হিসেবে কাপড় থেকে পূর্ণ একটি ‘বেস্ত’ তৈরি হতে ছয়টি ধাপ পার করতে হয়। ধাপ গুলো হলো বাতানা, হেলা, তোঘরোক, বুরুজ, মাসকারে, বরদাদ ও সিলালা। তারপর প্যাকেজিং করে ‘বেস্ত’ এর পূর্ণাঙ্গ রুপ হয়। এই কারখানা থেকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি করা হয়। এই হিসাবে এই কারখানা থেকে প্রতি বছর গড়ে ২৪ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি করা হয়। তবে এখনো তাদের অনেক চাহিদা। এই পোশাকের বাংলাদেশে কোনো চাহিদা নেই। সবগুলো পোশাক-ই যায় সৌদি আরবে কিংবা কাতারে। প্রতিটি ‘বেস্ত’ নকশাভেদে সেখানে ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

বগুড়ার তৈরি রাজকীয় ‘বেস্ত’ বিশ্বজয়ী মেসির গায়ে!

আপডেট : ০৫:৫০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামে তৈরি হয় সৌদি আরব ও কাতারের রাজকীয় পোষাক ‘বেস্ত’। প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘বেস্ত আল নুর’। এ কারখানায় তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, দুবাই সহ বিভিন্ন দেশের রাজা-বাদশাহ, শেখদের পরিহিত রাজকীয় পোশাক বিস্ত ও আভায়া। এবার সেই ‘বেস্ত’ বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেন্টিনার সাদা আকাশী রঙের দলপতি লিওনেল মেসির গায়ে।

কাতারের দোহায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তার গায়ে এই রাজকীয় পোশাকটি পড়িয়ে দেন শেখ তামিম। তবে কাতারে মেসির গায়ে পড়িয়ে দেয়া ‘বেস্ত’ আসলেই বগুড়ার তৈরি কিনা তা ফিফা কর্তৃপক্ষের থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।মূলত বিস্ত ও আভায়া পড়েন শেখ’রা। তারা এটিকে রাজকীয় পোশাক ও নিজেদের বর্হিপ্রকাশে ব্যবহার করে থাকেন। বেস্ত আল নূর এর তৈরি পোশাক মেসির গায়ে পড়ানো হয়েছে এমন একটি পোস্ট ফেসবুকে করেছেন এই পোশাক কোম্পানির পরিচালক রবিউল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন। চাহিদা মাফিক বেস্ত তৈরি হয় এই কারখানায়। প্রয়োজন চাহিদা মাফিক একেকটি বেস্তর দাম শুরু শুরু ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ পর্যন্ত । জানা গেছে, বগুড়ায় তৈরী হওয়া ‘বেস্ত’ মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলোর রাজা-বাদশাদের ঐহিত্যবাহী পোশাক। প্রায় ১৩ বছর আগে বগুড়া সদরের এরুলিয়া হাপুনিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ‘বেস্ত আল নূর’ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন নূর আলম নামের এক কাতার প্রবাসী। এবার কাতার বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে চাহিদা বাড়তে থাকে বেস্ত’র। সেই অনুযায়ী কারখানায় চাহিদা মাফিক বেস্ত তৈরিতে কাজ শুরু করে কর্মীরা। বিদেশি কাপড়ে হাতের কাজের নকশায় ‘বেস্ত’ তৈরি হচ্ছে। ‘বেস্ত আল নূর’ নামে কারখানায় এই এলাকার নারী-পুরুষ মিলে ৩০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।কাঁচামাল হিসেবে কাপড় থেকে পূর্ণ একটি ‘বেস্ত’ তৈরি হতে ছয়টি ধাপ পার করতে হয়। ধাপ গুলো হলো বাতানা, হেলা, তোঘরোক, বুরুজ, মাসকারে, বরদাদ ও সিলালা। তারপর প্যাকেজিং করে ‘বেস্ত’ এর পূর্ণাঙ্গ রুপ হয়। এই কারখানা থেকে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি করা হয়। এই হিসাবে এই কারখানা থেকে প্রতি বছর গড়ে ২৪ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি করা হয়। তবে এখনো তাদের অনেক চাহিদা। এই পোশাকের বাংলাদেশে কোনো চাহিদা নেই। সবগুলো পোশাক-ই যায় সৌদি আরবে কিংবা কাতারে। প্রতিটি ‘বেস্ত’ নকশাভেদে সেখানে ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়।