
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা গিয়েছে মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বিলীনের হুমকিতে রয়েছে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ইলিশঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা।
এ বিষয়ে নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই শুষ্ক ও বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।
মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়ন।
নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ওই এলাকা এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে চলছে। রায়পুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্বে ।
মেঘনা উপকূলীয় নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘উপজেলা মধ্যে চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া ও জালিয়ারচরে মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।’
উপকারী এলাকা ভাঙ্গন সম্পর্কে আরো বলেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক শাহেদ আরমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা কাছ থেকে আমি দেখেছি। বাঁধটি নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানিয়েছি।’
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরপাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ জানান, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।