ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আকাশে উঠেই চাকা খুলে গেলো, পাইলটের দক্ষতায় সফল অবতরণ ২৩ সেকেন্ডে ২১ বার বেত্রাঘাত শিশু শিক্ষার্থীকে : গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ রায়পুরে বিনামূল্যে জেলেরা পেলো প্রয়োজনীয় সামগ্রী লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের লুটপাট : বৃদ্ধাকে নৃশংস ভাবে হত্যা লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ রায়পুরে আওয়ামী সমর্থিত দুই জনপ্রতিনিধিসহ ৬ জন গ্রেফতার নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুরে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৯ আ. লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী – স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

পাউবোর ব্যর্থতায় রায়পুর উপজেলায় বিলীন হচ্ছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি – বসত ভিটা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা গিয়েছে মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বিলীনের হুমকিতে রয়েছে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ইলিশঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা।

এ বিষয়ে নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই শুষ্ক ও বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়ন।

নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ওই এলাকা এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে চলছে। রায়পুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্বে ।

মেঘনা উপকূলীয় নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘উপজেলা মধ্যে চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া ও জালিয়ারচরে মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।’

উপকারী এলাকা ভাঙ্গন সম্পর্কে আরো বলেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক শাহেদ আরমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা কাছ থেকে আমি দেখেছি। বাঁধটি নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরপাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ জানান, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাদের সম্পর্কে lakshmipurbulletin সম্পর্কে lakshmipurbulletin লক্ষ্য হল আমাদের পাঠকদের সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রদান করা, যেগুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্পগুলিকে কভার করে৷ আমাদের টিম: আমাদের অভিজ্ঞ সাংবাদিক এবং সম্পাদকদের দল উচ্চ মানের সংবাদ এবং বিশ্লেষণ প্রদানের জন্য নিবেদিত। আমরা সর্বশেষ উন্নয়নের অগ্রভাগে থাকার এবং আমাদের পাঠকদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর গভীরভাবে প্রতিবেদন প্রদান করার চেষ্টা করি৷আমাদের সাথে কাজ করছেন লক্ষ্মীপুর সদর থেকে মাহমুদুর রহমান মনজু ,রায়পুর থেকে পীরজাদা মাসুদ হোসাইন, রামগঞ্জ থেকে ইয়াকুব আলী এবং কমলনগর থেকে এ আই তারেক। আমাদের কভারেজ: আমরা রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তি, বৈশিষ্ট্য, জীবনধারা এবং কলাম সহ বিস্তৃত বিষয় কভার করি। আমাদের লক্ষ্য হল আমাদের পাঠকদের তাদের অবগত থাকার জন্য এবং জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা। আমাদের ভিশন: দ্রুত ক্রমবর্ধমান শ্রোতাদের সাথে lakshmipurbulletin আমাদের নাগাল প্রসারিত করতে এবং আরও বেশি জায়গায় আরও বেশি পাঠকের কাছে খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের পাঠকদের সর্বশেষ খবর এবং বিশ্লেষণ প্রদান করতে নিবেদিত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। যোগাযোগ করুন: প্রশ্ন বা মন্তব্যের জন্য, দৈনিক লক্ষ্মীপুর বুলেটিন পেইজে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার মূল্যবান প্রতিক্রিয়া এবং আপনার কাছ থেকে শোনার জন্য উন্মুখ. ধন্যবাদন্তে সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক লক্ষ্মীপুর বুলেটিন ।
জনপ্রিয় সংবাদ

আকাশে উঠেই চাকা খুলে গেলো, পাইলটের দক্ষতায় সফল অবতরণ

পাউবোর ব্যর্থতায় রায়পুর উপজেলায় বিলীন হচ্ছে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি – বসত ভিটা

আপডেট সময় : ০৪:১২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ, বসতভিটা ও স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা গিয়েছে মেঘনা নদীর রায়পুর অংশে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে রায়পুর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বিলীনের হুমকিতে রয়েছে চরইন্দ্রুরিয়া গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ইলিশঘাট এলাকাসহ দুই কিলোমিটার এলাকা।

এ বিষয়ে নদী তীরবর্তী স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই শুষ্ক ও বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এবার বর্ষার শুরুর আগেই নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে বহু ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি।

মেঘনা পাড়ের স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বাঁধ নির্মাণের জন্য কয়েকবার আবেদন করা হলেও আজও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নদীর প্রবল স্রোতে ও পরিকল্পনাবিহীন ড্রেজিংয়ের কারণে নদী ভাঙন আগের তুলনায় আরও অনেক বেড়েছে। এ ভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাস করে নিবে উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়ন।

নদীর উপকূলীয় এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি বাড়ায় উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ওই এলাকা এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে চলছে। রায়পুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া, চরঘাসিয়া এবং জালিয়ারচর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্বে ।

মেঘনা উপকূলীয় নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরায়েজি বলেন, ‘উপজেলা মধ্যে চরকাছিয়া, চরইনদ্রুরিয়া ও জালিয়ারচরে মানুষ বেশি অবহেলিত। উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পশ্চিমপাড়ের বিশাল এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নেই।’

উপকারী এলাকা ভাঙ্গন সম্পর্কে আরো বলেন, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের প্রশাসক শাহেদ আরমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ ও দুর্দশা কাছ থেকে আমি দেখেছি। বাঁধটি নির্মাণ হলে মানুষ নিজ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা উপকূলবাসীর কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) জানিয়েছি।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরপাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ জানান, বিষয়টি অবগত নন তারা। রায়পুর কার্যালয়ের বিষয়টি দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানান।