প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছুটে এসেছেন জ্যোতি (২১) নামের নেপালের এক তরুণী। সম্প্রতি সাইপ্রাস প্রবাসী রায়পুরের যুবক রাসেল হোসেনের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
রাসেলকে বিয়ে করতে নেপাল থেকে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন জ্যোতি। তিনি নিজের নাম জ্যোতি থেকে ইসলামিক নাম ‘খাদিজা বেগম’ রেখেছেন।
নেপালের সোনাচুড়ি জেলার হেটড়া শহরের বাসিন্দা খাদিজা বেগম। সাইপ্রাসে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি।
রাসেল রায়পুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর এলাকার মনতাজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে ও সাইপ্রাস প্রবাসী। সাইপ্রাসেই জ্যোতির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
রাসেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জ্যোতি ও রাসেল সাইপ্রাসে চাকরি করতেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দুই মাস আগে ছুটি নিয়ে তারা নিজ দেশ নেপাল ও বাংলাদেশে চলে আসেন।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) জ্যোতি নেপাল থেকে বাংলাদেশে আসেন। রাসেল নিজেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
ঢাকাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নেপালি তরুণী জ্যাতি। পরে নাম পরিবর্তন করে আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের নাম রাখেন ‘খাদিজা বেগম’। এরপর তারা শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন। কিছুদিন তারা ঢাকায় ছিলেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি শেষে ২০ ডিসেম্বর নববধূকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রায়পুরে আসেন রাসেল।
তবে ঢাকায় বিয়ে জাকজমক না হওয়ায় স্বজনরা নতুন করে আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করেন। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা করে রাসেল-খাদিজার বিয়েকে স্মরণীয় করেছেন স্বজনরা।
রাসেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঙালি নারীদের মতোই চলাফেরা করতে চেষ্টা করছেন বিদেশি বধূ। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে গৃহস্থালি কাজকর্মে সহযোগিতাও করছেন। বাঙালি পোশাক ও পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ইসলামিক বিধান অনুযায়ী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ছেন এই নেপালি তরুণী।
বিদেশি বধূ খাদিজা বেগম (জ্যোতি) বলেন, পরিবারের সম্মতি নিয়েই তিনি রাসেলকে বিয়ে করতে নেপাল থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। রাসেলকে অনেক ভালোবাসেন। বাকি জীবন তার সঙ্গেই কাটাতে চান।
জানতে চাইলে রাসেল হোসেন বলেন, চাকরির সুবাদে প্রেম, পরে আমরা দুজনে ঘর বেঁধেছি। খাদিজাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আজীবন তার সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে থাকব। আমার পরিবারও তাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছে।