ঢাকা ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাঁত শিরশির করলে কি ধরনের চিকিৎসা ?

  • ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট : ১২:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ০ জন পড়েছেন

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল আসলে কী?

উত্তর : দাঁত যে মাড়ির সঙ্গে লেগে থাকে, সেটি একটি শেকড়ের সঙ্গে লেগে থাকে। দাঁতের মাড়ির শেকড়ের একটি ক্যানেল থাকে। ওই ক্যানেলের যে সংক্রমণ বা প্রদাহ থাকে, দাঁতের ভেতরে যে পাল্প টিস্যু বা দন্ত্যমজ্জা বলি, সেটার চিকিৎসা করাকেই সাধারণত রুট ক্যানেল বলা হয়।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেলের প্রয়োজনীয়তা কখন হয়? কখন আপনারা এটি করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন?

উত্তর : সাধারণত ডেন্টাল ক্যারিজ হয়ে ওটা প্রথমে অ্যানামেলকে ক্ষয় করে। এর পর ডেনটিন ক্ষয় করে। যখন পাল্প টিস্যুতে এই ক্ষয় চলে যায়, রোগীর অসম্ভব ব্যথা হয়। এই ব্যথার কারণে যখন আমাদের কাছে রোগী আসে, তখন আমরা রুট ক্যানেল করি। এ ছাড়া অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে কোনো সমস্যা হলে বা দাঁতে যেকোনো ধরনের আঘাত পেলে, তখন আমরা দাঁতের রুট ক্যানেল করি।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার আগে তার পূর্ববর্তী অবস্থাটা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

উত্তর : আসলে সব সময় দাঁত ব্যথা হলেই যে রুট ক্যানেল করব, বিষয়টি সেটি নয়। অনেক সময় দেখা যায়, দাঁতের কিছু ক্ষয় রোগ থাকে, দাঁতের স্পর্শকাতরতা থাকে। তখন আমরা আর রুট ক্যানেল করার পরামর্শ দিই না। রুট ক্যানেল করার জন্য কিছু বিষয় লাগে, যেমন : পাল্প টিস্যু বা নার্ভ পর্যন্ত সমস্যা চলে যেতে হবে। যখন এই পাল্প কিংবা মজ্জাতে সমস্যা ছড়িয়ে পড়ে, তখন দাঁতে অসম্ভব ব্যথা হয়। ব্যথায় রোগী ঘুম থেকে উঠে যায়। রাতে অসম্ভব ব্যথা করে। তখন আমরা রোগীকে বলি, অবশ্যই এটি রুট ক্যানেল করতে হবে।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার আগে কোনো এক্স-রে বা পরীক্ষা করার দরকার আছে কি?

উত্তর : অবশ্যই রয়েছে। রুট ক্যানেল করার আগে দাঁতের কী অবস্থা, সেটি দেখি। হয়তো দাঁতের এমনই খারাপ অবস্থা যে দাঁত নড়ে গেছে, ওটা পরবর্তীকালে ঠিক করা সম্ভব নয়। তখন এক্স-রে করার পরামর্শ দিই। দাঁতের সার্বিক অবস্থা দেখে চিকিৎসা দিই।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার কথা শুনলে রোগীরা ভয় পেয়ে যায়। এর পেছনে কারণ কী?

উত্তর : আসলে দু-তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যথা। রোগীরা ভাবেন, দাঁতে এত ব্যথা পাচ্ছেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে হয়তো ব্যথা আরো বেড়ে যাবে। তবে এখন অনেক অ্যানেসথেশিয়া রয়েছে, যেগুলো রুট ক্যানেল করার আগে আমরা দিয়ে নিই। এতে ব্যথামুক্তভাবে রুট ক্যানেল করা যায়।
আসলে দেখা যায়, রুট ক্যানেলের চিকিৎসাটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সদ্য পাস করার চিকিৎসকরাই করে থাকেন। তবে দেখা যায়, অনেকে চিকিৎসক নন, তবে চিকিৎসক সেজে বসে আছেন। রোগী হয়তো তাঁদের কাছে চলে যান। তখন তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিলে রোগী ভালো থাকে না। পরে হয়তো অন্য কাউকে সেসব রোগী তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন, তখন অন্যরাও ভয় পেয়ে যান। এ দুটো কারণে সমস্যা হয়।
এ ছাড়া এই চিকিৎসায় অনেক সিটিং লাগে এবং একটু ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা এটি। সবকিছু চিন্তা করে রুট ক্যানেল চিকিৎসাকে রোগীরা হয়তো ভয়ংকর ভাবেন।

প্রশ্ন : আপনারা তখন রোগীদের কীভাবে আশ্বস্ত করেন?

উত্তর : রুট ক্যানেল ছাড়া অন্য চিকিৎসাটি হচ্ছে দাঁত ফেলে দেওয়া। আসলে যেভাবেই হোক, দাঁতকে আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। রোগীকে বলি, এই দাঁত ফেলে দিলে বাকি দুটো দাঁতে সমস্যা হবে। কারণ, বাকি দুটো দাঁত ওই দাঁতের জায়গা নিয়ে নেবে। তার পর ওপরের দাঁত নিচে নেমে আসবে। তখন রোগী ঠিকমতো কথা বলতে পারবে না। ঠিকমতো খাবার-দাবার খেতে পারবে না।

প্রশ্ন : এক সিটিংয়ে কি রুট ক্যানেল করা সম্ভব?

উত্তর : এক সিটিংয়েও চিকিৎসা হয়ে যায়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে। অনেক সময় দেখা যায়, রোগী ঢাকার বাইরে। তাঁরা তখন একদিনে রুট ক্যানেল করতে চান। তখন আমরা করে দিই। আমাদের এখন অনেক অগ্রবর্তী জিনিসপত্র হয়ে গেছে। আমরা এখন খুব ভালো করে একদিনেই বিষয়টি করতে পারি।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেলটা আপনারা কীভাবে করেন? এটি করার পরবর্তী সময়ে আপনাদের চিকিৎসা কী থাকে?

উত্তর : প্রথমে একটি অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে নিই। এ সময় দাঁতের চারদিক পরিষ্কার করে নিতে হয়। এর পর পাল্প টিস্যুগুলো বের করে দিই। ইনার সাবসটেনাল ঢুকিয়ে সিল করে দিই। দাঁতটা তখন স্থবির হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা রোগীকে পরামর্শ দিই দাঁতে ক্রাউন পরতে। প্রাকৃতিক দাঁতের যেই যত্ন প্রয়োজন, ক্রাউনেরও সেই যত্ন প্রয়োজন। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক নয়। তাই এর ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। খুব শক্ত হাড় চাবানো যাবে না। তবে সে স্বাভাবিক দাঁতের মতোই কাজ করছে। স্বাভাবিক দাঁত দিয়ে আমরা যেভাবে ভাত-মাছ খাচ্ছি, সবই এটি দিয়ে সম্ভব।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করা না হলে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : রুট ক্যানেল করা না হলে দাঁতটি অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতটি পাশের দাঁতটিরও ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি যখন রোগী আসে তখন দেখা যায়, গর্ত হতে হতে গোড়ার দিকে চলে গেছে। তখন আমরা একে আর রাখতে পারি না। তখন দাঁত ফেলে দিতে হবে। এর অনেক ঝামেলা রয়েছে। এতে সমস্যা বাড়তেই থাকবে।

প্রশ্ন : যে কারণে রুট ক্যানেল চিকিৎসাটি করার প্রয়োজন হয়, সেটি থেকে মুক্ত থাকার কি উপায় রয়েছে?

উত্তর : আসলে সবকিছুরই তো প্রতিরোধ দরকার। প্রথমে আমরা ওরাল হাইজিন (মুখের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা) যদি মেনে চলি, নিয়মিত দুবার দাঁত ব্রাশ করি, দিনে একবার অবশ্যই ফ্লসিং করি, তাহলে দাঁত ভালো থাকবে। আমরা কিন্তু ফ্লসিং সাধারণত করি না এবং ব্রাশও করি খুবই আলসেমি করে। আমাদের দেশে যেটি প্রচলিত, সকালবেলা উঠে দাঁত ব্রাশ করা, সেটি ঠিক নয়। আসলে রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয় এবং সকালবেলা নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়। এ ছাড়া বছরে দুবার ডেন্টিষ্টের কাছে যাওয়া উচিত। নিয়মিত যদি চেকআপে যাওয়া হয় তখন দেখা যায়, সমস্যা শুরু হওয়ার আগে চিকিৎসা করতে পারব। তখন আর সমস্যা হবে না। আমরা অনেক ভালো থাকতে পারবো।

পরামর্শক্রমে
ডেন্টিষ্ট মু.ওয়াহিদুুর রহমান মুরাদ
ম্যক্স ডেন্টিষ্ট পয়েন্ট রায়পুর।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

© All rights reserved © লক্ষ্মীপুর বুলেটিন
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Diggil Agency

দাঁত শিরশির করলে কি ধরনের চিকিৎসা ?

আপডেট : ১২:২৬:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল আসলে কী?

উত্তর : দাঁত যে মাড়ির সঙ্গে লেগে থাকে, সেটি একটি শেকড়ের সঙ্গে লেগে থাকে। দাঁতের মাড়ির শেকড়ের একটি ক্যানেল থাকে। ওই ক্যানেলের যে সংক্রমণ বা প্রদাহ থাকে, দাঁতের ভেতরে যে পাল্প টিস্যু বা দন্ত্যমজ্জা বলি, সেটার চিকিৎসা করাকেই সাধারণত রুট ক্যানেল বলা হয়।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেলের প্রয়োজনীয়তা কখন হয়? কখন আপনারা এটি করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন?

উত্তর : সাধারণত ডেন্টাল ক্যারিজ হয়ে ওটা প্রথমে অ্যানামেলকে ক্ষয় করে। এর পর ডেনটিন ক্ষয় করে। যখন পাল্প টিস্যুতে এই ক্ষয় চলে যায়, রোগীর অসম্ভব ব্যথা হয়। এই ব্যথার কারণে যখন আমাদের কাছে রোগী আসে, তখন আমরা রুট ক্যানেল করি। এ ছাড়া অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে কোনো সমস্যা হলে বা দাঁতে যেকোনো ধরনের আঘাত পেলে, তখন আমরা দাঁতের রুট ক্যানেল করি।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার আগে তার পূর্ববর্তী অবস্থাটা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

উত্তর : আসলে সব সময় দাঁত ব্যথা হলেই যে রুট ক্যানেল করব, বিষয়টি সেটি নয়। অনেক সময় দেখা যায়, দাঁতের কিছু ক্ষয় রোগ থাকে, দাঁতের স্পর্শকাতরতা থাকে। তখন আমরা আর রুট ক্যানেল করার পরামর্শ দিই না। রুট ক্যানেল করার জন্য কিছু বিষয় লাগে, যেমন : পাল্প টিস্যু বা নার্ভ পর্যন্ত সমস্যা চলে যেতে হবে। যখন এই পাল্প কিংবা মজ্জাতে সমস্যা ছড়িয়ে পড়ে, তখন দাঁতে অসম্ভব ব্যথা হয়। ব্যথায় রোগী ঘুম থেকে উঠে যায়। রাতে অসম্ভব ব্যথা করে। তখন আমরা রোগীকে বলি, অবশ্যই এটি রুট ক্যানেল করতে হবে।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার আগে কোনো এক্স-রে বা পরীক্ষা করার দরকার আছে কি?

উত্তর : অবশ্যই রয়েছে। রুট ক্যানেল করার আগে দাঁতের কী অবস্থা, সেটি দেখি। হয়তো দাঁতের এমনই খারাপ অবস্থা যে দাঁত নড়ে গেছে, ওটা পরবর্তীকালে ঠিক করা সম্ভব নয়। তখন এক্স-রে করার পরামর্শ দিই। দাঁতের সার্বিক অবস্থা দেখে চিকিৎসা দিই।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করার কথা শুনলে রোগীরা ভয় পেয়ে যায়। এর পেছনে কারণ কী?

উত্তর : আসলে দু-তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যথা। রোগীরা ভাবেন, দাঁতে এত ব্যথা পাচ্ছেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে হয়তো ব্যথা আরো বেড়ে যাবে। তবে এখন অনেক অ্যানেসথেশিয়া রয়েছে, যেগুলো রুট ক্যানেল করার আগে আমরা দিয়ে নিই। এতে ব্যথামুক্তভাবে রুট ক্যানেল করা যায়।
আসলে দেখা যায়, রুট ক্যানেলের চিকিৎসাটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা সদ্য পাস করার চিকিৎসকরাই করে থাকেন। তবে দেখা যায়, অনেকে চিকিৎসক নন, তবে চিকিৎসক সেজে বসে আছেন। রোগী হয়তো তাঁদের কাছে চলে যান। তখন তাঁদের কাছে চিকিৎসা নিলে রোগী ভালো থাকে না। পরে হয়তো অন্য কাউকে সেসব রোগী তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন, তখন অন্যরাও ভয় পেয়ে যান। এ দুটো কারণে সমস্যা হয়।
এ ছাড়া এই চিকিৎসায় অনেক সিটিং লাগে এবং একটু ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা এটি। সবকিছু চিন্তা করে রুট ক্যানেল চিকিৎসাকে রোগীরা হয়তো ভয়ংকর ভাবেন।

প্রশ্ন : আপনারা তখন রোগীদের কীভাবে আশ্বস্ত করেন?

উত্তর : রুট ক্যানেল ছাড়া অন্য চিকিৎসাটি হচ্ছে দাঁত ফেলে দেওয়া। আসলে যেভাবেই হোক, দাঁতকে আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। রোগীকে বলি, এই দাঁত ফেলে দিলে বাকি দুটো দাঁতে সমস্যা হবে। কারণ, বাকি দুটো দাঁত ওই দাঁতের জায়গা নিয়ে নেবে। তার পর ওপরের দাঁত নিচে নেমে আসবে। তখন রোগী ঠিকমতো কথা বলতে পারবে না। ঠিকমতো খাবার-দাবার খেতে পারবে না।

প্রশ্ন : এক সিটিংয়ে কি রুট ক্যানেল করা সম্ভব?

উত্তর : এক সিটিংয়েও চিকিৎসা হয়ে যায়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে। অনেক সময় দেখা যায়, রোগী ঢাকার বাইরে। তাঁরা তখন একদিনে রুট ক্যানেল করতে চান। তখন আমরা করে দিই। আমাদের এখন অনেক অগ্রবর্তী জিনিসপত্র হয়ে গেছে। আমরা এখন খুব ভালো করে একদিনেই বিষয়টি করতে পারি।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেলটা আপনারা কীভাবে করেন? এটি করার পরবর্তী সময়ে আপনাদের চিকিৎসা কী থাকে?

উত্তর : প্রথমে একটি অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে নিই। এ সময় দাঁতের চারদিক পরিষ্কার করে নিতে হয়। এর পর পাল্প টিস্যুগুলো বের করে দিই। ইনার সাবসটেনাল ঢুকিয়ে সিল করে দিই। দাঁতটা তখন স্থবির হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা রোগীকে পরামর্শ দিই দাঁতে ক্রাউন পরতে। প্রাকৃতিক দাঁতের যেই যত্ন প্রয়োজন, ক্রাউনেরও সেই যত্ন প্রয়োজন। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক নয়। তাই এর ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। খুব শক্ত হাড় চাবানো যাবে না। তবে সে স্বাভাবিক দাঁতের মতোই কাজ করছে। স্বাভাবিক দাঁত দিয়ে আমরা যেভাবে ভাত-মাছ খাচ্ছি, সবই এটি দিয়ে সম্ভব।

প্রশ্ন : রুট ক্যানেল করা না হলে কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : রুট ক্যানেল করা না হলে দাঁতটি অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতটি পাশের দাঁতটিরও ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি যখন রোগী আসে তখন দেখা যায়, গর্ত হতে হতে গোড়ার দিকে চলে গেছে। তখন আমরা একে আর রাখতে পারি না। তখন দাঁত ফেলে দিতে হবে। এর অনেক ঝামেলা রয়েছে। এতে সমস্যা বাড়তেই থাকবে।

প্রশ্ন : যে কারণে রুট ক্যানেল চিকিৎসাটি করার প্রয়োজন হয়, সেটি থেকে মুক্ত থাকার কি উপায় রয়েছে?

উত্তর : আসলে সবকিছুরই তো প্রতিরোধ দরকার। প্রথমে আমরা ওরাল হাইজিন (মুখের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা) যদি মেনে চলি, নিয়মিত দুবার দাঁত ব্রাশ করি, দিনে একবার অবশ্যই ফ্লসিং করি, তাহলে দাঁত ভালো থাকবে। আমরা কিন্তু ফ্লসিং সাধারণত করি না এবং ব্রাশও করি খুবই আলসেমি করে। আমাদের দেশে যেটি প্রচলিত, সকালবেলা উঠে দাঁত ব্রাশ করা, সেটি ঠিক নয়। আসলে রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয় এবং সকালবেলা নাশতার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়। এ ছাড়া বছরে দুবার ডেন্টিষ্টের কাছে যাওয়া উচিত। নিয়মিত যদি চেকআপে যাওয়া হয় তখন দেখা যায়, সমস্যা শুরু হওয়ার আগে চিকিৎসা করতে পারব। তখন আর সমস্যা হবে না। আমরা অনেক ভালো থাকতে পারবো।

পরামর্শক্রমে
ডেন্টিষ্ট মু.ওয়াহিদুুর রহমান মুরাদ
ম্যক্স ডেন্টিষ্ট পয়েন্ট রায়পুর।