ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নে আমরা ঐক্যবদ্ধ – সাবেক এমপি নোমান

লক্ষ্মীপুরে সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির সাবেক জেলা সভাপতি মোহাম্মদ নোমান অভিমান ভেঙ্গে এলাকায় ফেরায় বেজায় খুশি এলাকার জনগন। সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের কোন কর্মসূচি না থাকলেও শুক্রবার নিজ গ্রাম টুমচরে একটি প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে পড়ে টুমচর ইউনিয়ন ।বিগত নির্বাচনে অভিমান করে সরে দাঁড়ালেও এলাকার সাথে নিবিড় সম্পর্কের কারনে এখনো জনপ্রিয় নিজ এলাকাতে সাবেক এমপি দুই দুইবারের মহাজোটের প্রার্থী সাবেক মোহাম্মাদ নোমান এমপি। 

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের আলোকিত টুমচর ইউনিয়ন কতৃক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা -২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে টুমচর আসাদ একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ডাঃ মনির এর সঞ্চালনায় এবং টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস হারুন আল মাদানির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লক্ষ্মীপুর -২ মোহাম্মাদ নোমান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, টুমচর আসাদ একাডেমীর প্রিন্সিপাল রীনা বেগম , ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর আলম লোলা ,কনফিডেন্স কোচিং এর এমডি মোঃবেলাল রাজু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন ,টুমচরকে যারা বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব অবস্থায় তা সত্যিই অসাধারন। টুমচরে যারা জন্মগ্রহণ করে সত্যিকারে টুমচরকে এবং লক্ষ্মীপুরকে আরো মহান স্থানে নিয়ে যাবে। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য

সাংবাদিকদের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও সাবেক এই এমপি জানান, নির্বাচন এখনো বহু দূরে ।নির্বাচন নিয়ে কোন প্রচারণায় আপাতত এলাকায় আসিনি ।দলকে ভালোবাসি ।দলের প্রয়োজনে যে কোন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমানকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। প্রায় ৩ বছর পর মঙ্গলবার তার অব্যাহতি আদেশপত্র প্রত্যাহার করেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি

১৬ ই মে বিকাল ৪টায় দলের যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান জিএম কাদের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতা বলে নোমানের অব্যাহতি আদেশপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

মোহাম্মাদ নোমান লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২৭৫ নং (লক্ষ্মীপুর-২) আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন ।

মোহাম্মদ নোমান এক চিঠিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ থেকে সরে দাড়ানো প্রসঙ্গে জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি – সেক্রেটারী সমন্বয় করলেও ভিতরে ভিতরে জেলার অনেক নেতারা পাপুলের সাথে আঁতাত করে সন্দেহ তৈরি করে। ফলশ্রুতিতে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা – কর্মীদের বহিঃষ্কার চলছিলো। এছাড়াও নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রিয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকা, মহাজোটের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরী হওয়া এবং লোভী, সুযোগ সন্ধানীদের অবৈধ গোপন তৎপরতা ও আঁতাত করা, কেন্দ্রীয় সহযোগীতা না পাওয়া ইত্যাদি কারনে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।

আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগন, যারা আমাকে অকুষ্ঠ সহযোগীতা দিয়ে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং বাস্তব চিত্র অনুধাবন করে আমার সিদ্ধান্তকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আকুল আবেদন জানাচ্ছি । এমন একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠান। সেই চিঠিতেও পাপুলকে সমর্থনের কোন লেখা ছিলো না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নে আমরা ঐক্যবদ্ধ – সাবেক এমপি নোমান

আপডেট : ১২:২৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির সাবেক জেলা সভাপতি মোহাম্মদ নোমান অভিমান ভেঙ্গে এলাকায় ফেরায় বেজায় খুশি এলাকার জনগন। সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের কোন কর্মসূচি না থাকলেও শুক্রবার নিজ গ্রাম টুমচরে একটি প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে পড়ে টুমচর ইউনিয়ন ।বিগত নির্বাচনে অভিমান করে সরে দাঁড়ালেও এলাকার সাথে নিবিড় সম্পর্কের কারনে এখনো জনপ্রিয় নিজ এলাকাতে সাবেক এমপি দুই দুইবারের মহাজোটের প্রার্থী সাবেক মোহাম্মাদ নোমান এমপি। 

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের আলোকিত টুমচর ইউনিয়ন কতৃক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা -২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে টুমচর আসাদ একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ডাঃ মনির এর সঞ্চালনায় এবং টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস হারুন আল মাদানির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লক্ষ্মীপুর -২ মোহাম্মাদ নোমান । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, টুমচর আসাদ একাডেমীর প্রিন্সিপাল রীনা বেগম , ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নুর আলম লোলা ,কনফিডেন্স কোচিং এর এমডি মোঃবেলাল রাজু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমান বলেন ,টুমচরকে যারা বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব অবস্থায় তা সত্যিই অসাধারন। টুমচরে যারা জন্মগ্রহণ করে সত্যিকারে টুমচরকে এবং লক্ষ্মীপুরকে আরো মহান স্থানে নিয়ে যাবে। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য

সাংবাদিকদের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও সাবেক এই এমপি জানান, নির্বাচন এখনো বহু দূরে ।নির্বাচন নিয়ে কোন প্রচারণায় আপাতত এলাকায় আসিনি ।দলকে ভালোবাসি ।দলের প্রয়োজনে যে কোন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নোমানকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। প্রায় ৩ বছর পর মঙ্গলবার তার অব্যাহতি আদেশপত্র প্রত্যাহার করেন দলের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি

১৬ ই মে বিকাল ৪টায় দলের যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান জিএম কাদের গঠনতন্ত্রের ক্ষমতা বলে নোমানের অব্যাহতি আদেশপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখন তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

মোহাম্মাদ নোমান লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২৭৫ নং (লক্ষ্মীপুর-২) আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন ।

মোহাম্মদ নোমান এক চিঠিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ থেকে সরে দাড়ানো প্রসঙ্গে জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি – সেক্রেটারী সমন্বয় করলেও ভিতরে ভিতরে জেলার অনেক নেতারা পাপুলের সাথে আঁতাত করে সন্দেহ তৈরি করে। ফলশ্রুতিতে আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা – কর্মীদের বহিঃষ্কার চলছিলো। এছাড়াও নিজ দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থিরতা, লক্ষ্য নির্ধারণে অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রিয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয় ও সিদ্ধান্তহীনতা এবং মহাজোটের স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচনে বহাল থাকা, মহাজোটের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরী হওয়া এবং লোভী, সুযোগ সন্ধানীদের অবৈধ গোপন তৎপরতা ও আঁতাত করা, কেন্দ্রীয় সহযোগীতা না পাওয়া ইত্যাদি কারনে আমি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।

আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগন, যারা আমাকে অকুষ্ঠ সহযোগীতা দিয়ে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং বাস্তব চিত্র অনুধাবন করে আমার সিদ্ধান্তকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আকুল আবেদন জানাচ্ছি । এমন একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠান। সেই চিঠিতেও পাপুলকে সমর্থনের কোন লেখা ছিলো না।