টানা ১৭ বছর ধরে কোমায় রয়েছেন সৌদি আরবের এক যুবরাজ। যেহেতু কোমায় থাকা মানে একপ্রকার ‘ঘুমিয়ে’ থাকা। তাই তাকে `স্লিপিং প্রিন্স` বা ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়। সম্প্রতি প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল নামে ওই যুবরাজের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এক টুইটে যুবরাজ আল-ওয়ালিদের ওই ছবিটি প্রকাশ করেন সৌদি রাজকুমারী রিমা বিনতে তালাল। এতে ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’র সুস্থতার জন্য দোয়া চান তিনি। বলেন, ‘আল্লাহ তাকে সুস্থ করে দিক’। ছবিতে তার বাবা খালেদ বিন তালালকেও দেখা গেছে। খবর আল আরাবিয়্যাহ ও মিডল ইস্ট মনিটরেরবাবা খালেদ বিন তালালও তার সন্তানের জন্য দোয়া করেন। এক টু্ইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘হে আল্লাহ তাকে সুস্থ করুন, তাকে রক্ষা করুন।’ যুবরাজ আল-ওয়ালিদ ২০০৫ সাল থেকে কোমায় রয়েছেন। সামরিক কলেজে পড়ার সময় এক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এতে মাথায় আঘাতের ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়।তার বাবা খালেদ বিন তালাল বিলিয়নিয়র সৌদি ব্যবসায়িক টাইকুন প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল আল সৌদের ভাই। যুবরাজ আল ওয়ালিদের বাবা এখনও আশা করেন, তার ছেলে একদিন জেগে উঠবেন। এজন্য তিনি লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলতে অস্বীকার করে আসছেন।কোমায় থাকলেও যুবরাজ আল-ওয়ালিদ মাঝে মাঝেই সাড়া দেন বলে দাবি আত্মীয়-স্বজনদের। ২০২০ সালের অক্টোবরে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যুবরাজ তালাল নিজের হাত সরিয়ে নিচ্ছেন। এ সময় তার বিছানার পাশে স্বজনরা কথা বলছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালেও এরকম হাত নাড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়।২০১৭ সালে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে রিয়াদের রিটজ-কার্লটন হোটেলে কয়েক ডজন যুবরাজ, কর্মকর্তা এবং ধনকুবেরকে বন্দি করেন বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশটির অভিজাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য তিনি চরম সমালোচনার শিকার হন। ওই অভিযানে তাদের ১১ মাস আটক রাখা হয়। এর মধ্যে ‘স্লিপিং প্রিন্সে’র বাবা খালেদ বিন তালালও ছিলেন।