মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের ১১ জনের জামিন আবেদন মঞ্জুর। আজ রবিবার বিচারপতি মোঃসেলিম এবং বিচারপতি রিয়াজউদ্দিন এর ডিভিশন হাইকোর্টের বেঞ্চ ৬ সপ্তাহের জামিন আদেশ প্রদান করেন।

আসামীদের আইনজীবী এড.জহিরুল ইসলাম সস্বপন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। জানা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুজ্জামান মামলাটি দায়ের করেন। এতে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ্ আল মামুন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহিম রাজন, সহ সভাপতি নাদিম মাহমুদ জুয়েল, আনিসুর রহমান ভূঁইয়া রানা, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক আবুল বারাকাত সৌরভ বুলেট, জেলা ছাত্রদল সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ মিশু, সরকারি কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক হাসিবুর রহমান অভি, সদর উপজেলা (পূর্ব) ছাত্রদল সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ভূঁইয়া, জেলা ছাত্রদল সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওসার হোসেন এবং সরকারি কলেজ ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন রনি সহ অজ্ঞাত ১৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তরা শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও বাজারে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এ সময় তাদের কোনো কর্মসূচি থাকলে সেখানে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। কিন্তু ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তা মানতে নারাজ ছিল। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এতে মামলার বাদি আনিছুজ্জামান, কনস্টেবল শফিক উল্যা ও জিসান আহমেদ আহত হয়।

তবে ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় চক বাজার এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে আসছিল। শহরের ব্রিজ পার হলেই হলেই পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।