চেয়ারম্যান পদে রায়পুরে আলতাফ- ইমতিয়াজের পক্ষে রামগঞ্জে গনজোয়ার
-
ডেস্ক রিপোর্ট :
-
আপডেট :
০৪:৪৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
-
১
জন পড়েছেন
Oplus_0
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২১ মে রায়পুর-রামগঞ্জ উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভোট ঘনিয়ে যত কাছে আসছে ততই ভোটের আমেজ ফিরেছে লক্ষ্মীপুরের ২টি উপজেলার। ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ভোটারদের কাছে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। রায়পুরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও হেভিওয়েট আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার (মোটরসাইকেল প্রতীকে) ,তার সাথে লড়বেন রানিং চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ(আনারস প্রতীকে) ও রামগঞ্জে জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান পুত্র ইমতিয়াজ আরাফাত এর আনারস প্রতীকের সাথে লড়বেন দেওয়ান বাচ্চু।
দুই উপজেলার আওয়ামীলীগের পদধারী নেতাদের সাথেই দ্বিমুখী ভোটযুদ্ধ হবে বলে সাধারন ভোটারদের আলোচনা চলছে চায়ের টেবিলে।
এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সরব ভূমিকা বিদ্যমান।
রামগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জনগণের সাড়া পেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইমতিয়াজ আরাফাত।
রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ইমতিয়াজ আরাফাত নির্বাচনীয় গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। এতে তিনি ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তার প্রতীক আনারস। জনগণকে সাথে নিয়ে বিজয়ের মালা নিয়ে ঘরে ফিরবেন বলে তার প্রত্যাশা।
ইমতিয়াজ আরাফাত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহানের ছেলে।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন তিনি গনসংযোগ করছেন। এতে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা যাচ্ছে। তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন এমনটা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটাররা। রামগঞ্জের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য জনগণ তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে প্রচেষ্টা করছেন। পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রামগঞ্জে ব্যাপক ভুমিক রাখবেন বলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাস।
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত বলেন, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জেলা পরিষদের অর্থায়নে রামগঞ্জে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। দীর্ঘদিন রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থেকে নেতাকর্মীদেরকে সুসংগঠিত করেছেন। আমি এ পরিবারের সন্তান হিসেবে জনগণ আমাকে তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে ভোট দিয়ে রামগঞ্জ উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগীতা করবেন।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল এর জনপ্রিয় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার হুমকি – ধামকি উপেক্ষা করে মাঠে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার সঙ্গে রয়েছেন সাবেক মেয়র হাজী ইসমাইল খোকন ও চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজী।
এলাকাবাসী জানান চেয়ারম্যান তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত ৫ বছরেও তিনি এ উপজেলায় ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, বহুতল ভবনে পরিণত করেছেন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে তার আরো নানা রকম জনসেবামূলক নজির। তিনি বিনোদনের জন্য নির্মাণ করেছেন পর্যটন কেন্দ্রছ। এ ছাড়াও একজন সাহসী আ.লীগ নেতা হিসেবে ২নং চরবংশী ইউপি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে করেছিলেন। উন্নয়নের প্রতিদান স্বরূপ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই এবারো এ উপজেলার ভোটাররা আস্থা রেখেছেন তার প্রতি। বর্ষীয়ান এ নেতাকে দলমত নির্বিশেষে আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়ার প্রত্যাশায় বিভোর হয়ে আছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ বলে জানান সাবেক মেয়র হাজী ইসমাইল খোকন।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলতাফ হোসেন মাস্টার (বিএসসি) মোটর সাইকেল মার্কার তিনি বলেন ” আমার কোন পদ-পদবী নেই,
আমার আছে জনগণ! এই জনগণই আমার শক্তি।” এসময় তিনি আরও বলেন, ” আমি এর আগেও ২০১৪ সালে আ’লীগের সমর্থন নিয়ে রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে পাঁচ বছর জনসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে ছিল। বিনিময়ে আমি আজও জনগণের সেবা করছি। আবারও যদি জনগণ আমাকে চায় তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। সে পাঁচ বছরে আমার বিরুদ্ধে কোন একটা অপরাধের রায়পুর বাসীর অভিযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা মার্কায় সবচেয়ে বেশি ভোট আমি দিয়েছি। ” অপর দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী মামুনুর রশীদের উপর অভিযোগ তুলে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারের উপজেলা নির্বাচনকে উম্মুক্ত ঘোষণা করেছেন। তিনি এমপি, মন্ত্রীদের স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথা অমান্য করে এমপির ভগ্নিপতি মামুনুর রশীদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তার এমপি আছে, মোহাম্মদ আলী খোকন আছে, পদপদবী আছে। আর আমার আছে জনগণ এবং আল্লাহ। এই জনগণই আমার শক্তি। প্রতিপক্ষ আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমি কোন হুমকি, ধামকি ও রক্তচক্ষুকে ভয় করিনা। আমি আপনাদের চোখে যোগ্য প্রার্থী হলে আপনারা আমাকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ দিবেন।”
ট্যাগ :