ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুপ্ত হামলা চালিয়ে নিহত-আহত করেছে বিএনপির কর্মীদের আ.লীগ – এ্যানি ।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এসময় এ্যানি চৌধুরী বলেন , বিএনপির ওপর আ.লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলায় কৃষক দল কর্মী নিহত এবং ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ও পুলিশ যৌথভাবে বিএনপির ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুলি করেছে। হামলা চালিয়ে কৃষকদল কর্মী সজিব হোসেনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ নির্দয়ভাবে গুলি করেছে। দুইজনের চোখে গুলি লেগেছে। আমাদের প্রায় ২০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের নেতাকর্মীরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। সজিবকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। যারা গুলিবিদ্ধ তাদের পক্ষ থেকেও মামলা করা হবে’।

এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম-আহবায়ক হাছিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা এ্যানির লক্ষ্মীপুরের গোডাউনরোড এলাকার বাসভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নিহত সজিব সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও চরশাহী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য। এর আগে বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত শহরের মজুপুর, চকবাজার, কলেজ রোড ও কাচারিবাড়িসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এ সংঘর্ষ হয়। ৬ টার দিকে শহরের মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার দোতলার সিড়ির রুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ-র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা সৃষ্টি করে। তবু বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে শহরের গোডাউনরোড এলাকা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে পদযাত্রার মাঝখানে অংশে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। ওই হামলা থেকেই কৃষক দল কর্মী সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

‘এরপর লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের মজুপুর এলাকায় আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন যৌথভাবে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেয়। সেখানে পুলিশ গুলিও ছুঁড়েছে। এতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা আহত হয়। আহতরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেল পুলিশের গায়ে পড়ে। আর পুলিশ তাদেরকে কিছু না করে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে মো. সজিব হোসেন (৩০) নামের কৃষক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিএনপির উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা প্রথমে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। তাঁরা অতর্কিতে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা-ভাঙচুর করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশ সদস্যরা আহত হন। পুলিশের গুলিতে সজিব মারা যাননি। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

গুপ্ত হামলা চালিয়ে নিহত-আহত করেছে বিএনপির কর্মীদের আ.লীগ – এ্যানি ।

আপডেট : ০১:৪৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন। এসময় এ্যানি চৌধুরী বলেন , বিএনপির ওপর আ.লীগ ও পুলিশের যৌথ হামলায় কৃষক দল কর্মী নিহত এবং ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ও পুলিশ যৌথভাবে বিএনপির ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুলি করেছে। হামলা চালিয়ে কৃষকদল কর্মী সজিব হোসেনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ নির্দয়ভাবে গুলি করেছে। দুইজনের চোখে গুলি লেগেছে। আমাদের প্রায় ২০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে আমাদের নেতাকর্মীরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। সজিবকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। যারা গুলিবিদ্ধ তাদের পক্ষ থেকেও মামলা করা হবে’।

এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু ও যুগ্ম-আহবায়ক হাছিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা এ্যানির লক্ষ্মীপুরের গোডাউনরোড এলাকার বাসভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নিহত সজিব সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ও চরশাহী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য। এর আগে বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত শহরের মজুপুর, চকবাজার, কলেজ রোড ও কাচারিবাড়িসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে এ সংঘর্ষ হয়। ৬ টার দিকে শহরের মদিন উল্যাহ হাউজিংয়ের একটি বাসার দোতলার সিড়ির রুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন। পুলিশ-র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা সৃষ্টি করে। তবু বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে শহরের গোডাউনরোড এলাকা থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে পদযাত্রার মাঝখানে অংশে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে চোরাগোপ্তা হামলা চালায়। ওই হামলা থেকেই কৃষক দল কর্মী সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

‘এরপর লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের মজুপুর এলাকায় আধুনিক হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন যৌথভাবে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেয়। সেখানে পুলিশ গুলিও ছুঁড়েছে। এতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা আহত হয়। আহতরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনেককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেল পুলিশের গায়ে পড়ে। আর পুলিশ তাদেরকে কিছু না করে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে মো. সজিব হোসেন (৩০) নামের কৃষক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানাসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিএনপির উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা প্রথমে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। তাঁরা অতর্কিতে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা-ভাঙচুর করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশ সদস্যরা আহত হন। পুলিশের গুলিতে সজিব মারা যাননি। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।