আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি জবরদখল করে গৃহ নির্মাণ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে তথ্য সংগ্রহে ভিডিও ও স্থীরচিত্র ধারনের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা ক্যামেরা ও ফোন ছিনতাই করা হয়। এসময় সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা সহ মারধর করা হয়। বুধবার দুপুর আনুমানিক ২ টায় কুমিল্লা সদরের কালির বাজার ইউপির আনন্দপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহফুজ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্য সচিব, বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি দৈনিক ভোরের কলাম এর স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ বাবু জানান, “কালির বাজার ইউপির আনন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুল মান্নান, আব্দুল লতিফ খোকন, আবু হানিফ নোমান, হাবিব গং এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে প্রতিবেশী জান্নাতুল ফেরদৌস কল্পনা’র। ভুক্তভোগী কল্পনা আক্তার এবিষয়ে জবর দখল ও নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। বিবাদপূর্ণ সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। আদলতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলে মারামারি ও প্রাণহানী ঘটাতে পারে, অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন সুমন সহ ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের সরেজমিনে দেখানের সময় অভিযুক্ত হানিফ সহ তার সহযোগীরা ঐ নারীর ওপর হামলা করে মারধর শুরু করে। এসময় ভিডিও চিত্র ধারণ ও ছবি তোলার সময় আমার ওপর হামলা চালায় আবু হানিফ। হামলা ও মারধরের একপর্যায়ে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। উপস্থিত সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত প্রাইভেট কার এর গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিয়ে প্রতিবাদ করলে যুগান্তর প্রতিনিধি ইকবাল হোসেনকেও লাঞ্ছিত করা হয়। এসময় আইনি সহায়তা পেতে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ কে ফোন দেয়া হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার আওতাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই রিন্টু সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে আসার আগেই অভিযুক্ত সন্ত্রাসী আবু হানিফ সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হবে।
এদিকে মারধর ও হামলায় আহত ভুক্তভোগী কল্পনা আক্তার বর্তমানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। ফোনে প্রতিবেদকে তিনি জানান, সাংবাদিকদের সামনেই মারধর করা হয়। এরপর সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করার পর সাংবাদিকরা চলে গেলে হানিফ ও তার সহযোগী হাবিব সহ আরো ৭/৮ জন ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পেটে , কানে ও মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। কান দিয়ে রক্ত পরছে। শারিরীক অবস্থা ভালো হলে আগামীকাল থানায় মামলা দায়ের করবো।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানজুর মোরশেদ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের ওপর হমলা, মারধর ও ক্যামেরা ছিনতাই সহ গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর সহ সংগঠনে নেতৃবৃন্দ, সহকর্মী সাংবাদিক, বুড়িচং প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানন। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।