উপজেলা নির্বাচনে আলতাফ মাষ্টারকে ঘিরে ভোটব্যাংক খ্যাত পশ্চিমাঞ্চল একাট্টা এবার। উন্নয়ন বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এনে দক্ষিন – উত্তর চরবংশী ও দক্ষিন – উত্তর আবাবিল আলতাফ মাষ্টারের পক্ষে একাট্টা হয়েছে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পূর্বেই।১৬ হাজার ভোট নৌকার সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে নেতা – কর্মীদের আস্থাভাজন আলতাফ হোসেন মাষ্টার ফের আলোচনায়। সংসদ নির্বাচন শেষ হতে না হতেই উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ফেসবুকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, গণসংযোগে সরব রয়েছে উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নবীণ-প্রবীন মিলিয়ে আওয়ামী লীগের হাফ ডজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে সিনিয়র ত্যাগী নেতা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাস্টারকে নিয়েই আগ্রহ বাড়াচ্ছে কঠিন প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে।
ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নপপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ,সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আ’লীগের সদস্য এডভোকেট মিজানুর রহমান মুন্সি, এ্যাড মারুফ বিন জাকারিয়া।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের সপক্ষে সমর্থন পাওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তারাও তাদের সমর্থকরা দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
দু:সময়ের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত আ’লীগ নেতা মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার নৌকা প্রতিক নিয়ে বিগত উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির দুঃসময়ের কান্ডারী ও রায়পুর উপজেলাকে নৌকার ঘাটি হিসেবে তৈরি করার পেছনে তার ভূমিকা আর ত্যাগই সর্বোচ্চ বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।
আলতাফ মাস্টার ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচিত হওয়া এ নেতার আছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। এ নেতাকে বলা হয় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সিংহ পুরুষ। যিনি বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে রাজপথে আ.লীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করায় খায়ের ভুইয়া বাহিনীর হাতে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল তার পরিবারকে।
২০১৪ সনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে পশ্চিমাঞ্চলে আওয়ামীলীগের কর্মীদের কাছে আস্তার নাম
সাবেক রায়পুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতবার নমিনেশন না পেলেও কঠিন প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন মাষ্টার আলতাফ হোসেন বিএসসি। ২০১৪ এর আগে তিনি ২নং চরবংশী ইউপির সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তার ছেড়ে দেয়া ইউপিতে তারই আপন ভাই আবুল হোসেন মাষ্টার ২য়বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।আলতাফ হাওলাদার ২নং চরবংশী ইউনিয়নের সাবেক সফল সভাপতি ছিলেন।
মাষ্টার আলতাফ হোসেন তার সময়ে বিগত ৫ বছরে এ উপজেলায় ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। তৈরি করেছেন বেশ কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, বহুতল ভবনে পরিণত করেছেন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রয়েছে তার আরো নানা রকম জনসেবামূলক নজির।
মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার (বিএসসি) মূলত তার নাম অনুসারে ঘাট রাখা হয় নাম রাখা হয় আলতাফ মাস্টার মাছ ঘাট। নির্মানের কয়েক বছরেই বেশ সাড়া ফেলেছে জায়গাটি।এটি নির্মান করায় এলাকার শত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের জায়গাও হয়েছে এখানে। এতে প্রশংসায় ভাসছেন ঘাট নির্মাতা।
সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার এর সহযোগিতায় উপজেলার ৮নং দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড হাজীমারা টু চরকাছিয়া থেকে কানিবগারচর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ হয়ে এলাকাবাসীর কাছে হয়ে উঠেছেন সিংহ পুরুষ।
উন্নয়নের প্রতিদান স্বরূপ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই এবারো এ উপজেলার ভোটাররা আস্থা রাখছেন বলে জানান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা খান আল মামুন।তিনি বলেন দলমত নির্বিশেষে আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়ার জন্য বেকুল হয়ে আছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে জানা যায়, বর্তমান রাজনীতিতে তার মতো জনবান্ধব নেতা কমই রয়েছেন। যিনি কেবল দলমত নির্বিশেষে সবার অন্তর কেড়েছেন। যিনি নিজের কথা না ভেবে কেবল জনগণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
আলতাফ মাস্টার বলেন, আমি মুজিব আদর্শের বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনার একজন কর্মী মাত্র। যদি এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তবে আমি নির্বাচিত হলে উন্নয়নের অসম্পূর্ণ কাজগুলোকে সম্পন্ন করতে পারবো। আমি চাই জনগণের পাশে থেকে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। নিজের জীবনের শেষটুকু যেন জনগণের জন্য বিলিয়ে দিতে পারি এটাই আমার প্রত্যাশা।