ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুর জেলায় ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় ১৮৫ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত,৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন – জেলা প্রশাসক

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে রোববার মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এ জেলায় সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জরুরি সভা ডেকে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আশফাকুর রহমান মামুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

এর থেকে মানুষ ও গবাদি পশু রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

যারা নদীতে আছেন তাদের দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে ৩ হাজার ২৮০ জন মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ৬৬টি মেডিকেল টিম কাজ প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ২৬০ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬০০ কার্টুন বিস্কুট সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের উত্তরচরবংশী ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটির বিলুপ্ত  

উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুর জেলায় ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় ১৮৫ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত,৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন – জেলা প্রশাসক

আপডেট : ০১:১৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

মোঃওয়াহিদুর রহমান মুরাদ :
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে রোববার মধ্যরাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এ জেলায় সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৮৫টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জরুরি সভা ডেকে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ এ তথ্য জানান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন আহম্মদ কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক আশফাকুর রহমান মামুনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এ সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে মেঘনা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

এর থেকে মানুষ ও গবাদি পশু রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য নদী এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

যারা নদীতে আছেন তাদের দ্রুত লোকালয়ে আনার জন্য নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে ও পরে ৩ হাজার ২৮০ জন মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। ৬৬টি মেডিকেল টিম কাজ প্রস্তুত রয়েছে। জেলার সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ২৬০ টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ৬০০ কার্টুন বিস্কুট সংরক্ষণ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।