মাহমুদুর রহমান মনজু, স্টাফ রিপোর্টার :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ১৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১১ এর সহায়তায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানাধীন আমিশাপাড়া এলাকার জনৈক কাউছার মিয়ার পাকা দালান থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি জহিরুল আলম তিহান নামে এক কিশোরকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জহিরুল আলম তিহান নিজ এলাকার একটি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান।আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে ১৪ বছরের ভিকটিম ছাত্রীকেও হাজির করা হলে সে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
সোমবার দুপুরে (০৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি মো. জহিরুল আলম তিহান চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের নুর আলম স্বপনের ছেলে। অপহৃত ছাত্রীর পরিবার লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের পৈত্রিকবাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায়।
পুলিশ জানায়, জহিরুল আলম তিহান নিজ এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান। তার নেতৃত্বে গঠিত ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলগামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার (০৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে চন্দ্রগঞ্জস্থ আফজাল রোডের মোড় থেকে জহিরুল আলম তিহান ও তার সহপাঠী ৫/৬ জন মিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরে প্রযুক্তির মাধ্যমে র্যাব-১১ এর সহায়তায় পুলিশ শনিবার রাতে সোনাইমুড়ি থানাধীন আমিশাপাড়া এলাকার জনৈক কাউছার মিয়ার পাকা দালান থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ ঘটনার প্রধান আসামি তিহানকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ভিকটিম স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে জহিরুল আলম (১৬), মো. রাসেল (২০), মো. ওমর (১৯) সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের পর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।